কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে তুলকালামের পর থমথমে বরিশাল। ইউএনও’র বাসভবনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এতে মেয়র সাদিকসহ আসামি ৬শো’র বেশি। যাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ জনকে।
বরিশালে ইউএনও’র বাসভবনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
রাজনৈতিক ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া আর তাতে ইউএনও’র বাধা এমন তুচ্ছ ঘটনায় রণক্ষেত্র বরিশাল সদর উপজেলা চত্বর। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সাথে দফায় দফায় চলে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে হামলা হয় ইউএনও মুনিবুর রহমানের বাসভবনে।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অনুমতি না নিয়ে রাতের বেলায় ব্যানার ছিঁড়তে যাওয়াকে বেআইনি বলছেন জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) পানি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে বৈঠক শেষে এক বিবৃতি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবেলা করা হবে। আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে। ইউএনও’র বাসায় হামলার ঘটনায় বরিশাল সিটি মেয়রের গ্রেপ্তারও দাবি করেন তারা।
অপরদিকে সিটি করপোরেশনের দাবি, সায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেকোনো সময় কাজ করার এখতিয়ার রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। নেতারা বলেন, মেয়রের কার্যক্রমে ইর্ষান্বিত হয়ে প্রশাসন এমন করছে।
এ ঘটনায় ৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকে বরিশাল থেকে সব রুটের বাস ও লঞ্চ চলাচল। সিটি মেয়রের বাসায় সামনে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান নেয় পুলিশ।
সূত্র: চ্যানেল ২৪
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-